দেখতে দেখতে আরও একটি বসন্ত পার করে ফেললেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আর হাসান। আজ তার ২৮তম জন্মদিন।
বিতর্কিত কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানো হয়েছে। নয়তো অস্ট্রেলিয়ায় বসেই নিজের ২৮তম জন্মদিন পালন করতে হতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু দেশে ফিরে হয়তো স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে পালন করতে পারছেন জন্মদিনটা।
সাকিবের জন্মদিন উপলক্ষে তার নিজের ফেসবুক পেইজ এবং তার সর্থকরে বিভিন্ন পেইজে অসংখ্য শুভেচ্ছ বার্তায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে সাকিবকে। বাংলামেইল পরিবার থেকেও সাকিব আল হাসানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু সাকিব আল হাসান।’
১৯৮৭ সালের এই দিনে মাগুরা জেলার একটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন সাকিব আল হাসান। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি নেশা। খেলতেন গ্রামেই টেপ টেনিস বলে। তেমনই একটি ম্যাচ খেলতে গিয়ে আম্পায়ারের দৃষ্টি পড়ে তার ওপর। সেই আম্পায়ার সাকিবকে নিয়ে আসেন মাগুরা জেলা শহরের ইসলাম পুর পাড়া ক্লাবে।
সেখানে ট্রায়াল দিতে গিয়ে প্রথমে পেস বোলিং করছিলেন সাকিব। কিন্তু কোচ তাকে বললেন স্পিন বল করে দেখতে। পরে দেখা গেলো পেচের চেয়ে স্পিনই ভালো করতে পারছেন সাকিব এবং সেটা বেশ উপকারিও। এরপরই সুযোগ পেয়ে গেলেন ইসলাম পুর পাড়া ক্লাবের হয়ে খেলার।
ক্রিকেটের ডিউজ বলে প্রথম খেলেন ওই ক্লাবের হয়েই এবং জীবনের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায় তখনই। মাগুরা থেকেই সুযোগ পান বিকেএসপিতে ট্রেনিং নেওয়ার। এরপর ২০০৫ সালে খেলার সুযোগ পান অনুর্ধ্ব-১৯ দলে। সেবার ইংল্যান্ড এবং শ্রীলংকার বিপক্ষে ত্রি-দেশীয় সিরিজের একটি ম্যাচে ৮৬ বলে সেঞ্চুরিছাড়াও তুলে নেন ৩ উইকেট। যা দলকে এনে দেয় গুরুত্বপূর্ণ এক জয়।
২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১৮টি ওয়ানডে খেলে ৩৫.১৮ গড়ে করেন ৫৬৩ রান। উইকেট নেন ২২টি। এরপরই ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে মুশফিকুর রহিম এবং ফরহাদ রেজার সঙ্গে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান সাকিব।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ পান সাকিব। ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে ৩৯ রানে নেন ১ উইকেট। এল্টন চিগুম্বুরাকে আউট করে বোলিং ক্যারিয়ার শুরু। এরপর ব্যাট হাতে অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে। ওই ম্যাচে শাহরিয়ার নাফীস ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জয় পায় ৮ উইকেটে।
টেস্ট অভিষেক ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ঢাকায়। ওই ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পান মাত্র এক ইনিংসে। রান করেন ২৭। কোন উইকেট পাননি। টেস্ট শেষ পর্যন্ত ড্র হয়ে যায়।
সেই থেকে শুরু। মাঝে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জিতিয়েছেন। দলের অনেক উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িয়ে সাকিবের নাম। টেস্ট, ওয়ানডে এমনকি টি২০ অলরাউন্ডার ক্যারিয়ারের শীর্ষে উঠেছেন সাকিব। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি এক সঙ্গে তিন ফরম্যাটেই অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠেন।
ক্যারিয়ারে ৩৭ টেস্টে ২ হাজার ৫২৯ রান করেছেন ৩৮.৩১ গড়ে। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ১৭টি। উইকেট নিয়েছেন ১৪০টি। এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৪ বার। সেরা বোলিং ৩৬ রানে ৭ উইকেট।
ওয়ানডে খেলেছেন ১৪৫টি। রান করেছেন ৪ হাজার ১৬২। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম চার হাজার রান করেছেন সাকিব আল হাসান। গড় ৩৪.৯২ করে। সেঞ্চুরি ৬টি, হাফ সেঞ্চুরি ২৮টি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৪। উইকেট নিয়েছেন ১৮৯টি। সেরা বোলিং ১৬ রানে ৪ উইকেট।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
প্রিয় ক্রিকেট খেলোয়ার সাকিব আল হাসান ভাই কে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা , শুভ জন্মদিন ।
ReplyDeletelove to read this post also check this post জন্মদিনের শুভেচ্ছা fill the difference
ReplyDelete