সুখ বিচারে ১৫৮টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯ নম্বরে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও সুখের বিচারে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। ভারত রয়েছে ১১৭ নম্বরে। বাংলাদেশের চেয়েও বেশি সুখী দেশ হিসেবে তালিকার ৮১ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তানের নাম।
সবচেয়ে অসুখী দেশের তকমা জুটেছে আফ্রিকার দেশ টোগোর কপালে।
সুখের মানদণ্ডে ১০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪.৬৯ পয়েন্ট। ভারত ৪.৫৬ ও পাকিস্তান ৫. ১৯। মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সেবাসমূহ, গড় আয়ু, জীবনপদ্ধতি বেছে নেওয়ার সুযোগ, মহত্ত্ব, দুর্নীতির ধারণা এই কয়টি মানদণ্ডে সুখের হিসাব করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ড পেয়েছে ৭.৫৮ পয়েন্ট।
বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে সুখীদের ঠিকানা হিসেবে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও কানাডা। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) নামের একটি সংস্থা এই জরিপ চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইন্সটিটিউটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
তালিকার একেবারে নিচে সবচেয়ে অসুখী ১০টি দেশের মধ্যে টোগোর (২.৮৩) সঙ্গে রয়েছে বুরুন্ডি, সিরিয়া, বেনিন, রুয়ান্ডা, আফগানিস্তান, বুরকিনা ফাসো, আইভরি কোস্ট, গিনি ও চাদ।
আর্থ ইন্সটিটিউটের পরিচালক জেফরি সাচস বলেন, 'কোনও সমাজের সদস্যরা সুখী হলেই সেই সমাজকে সুখী হিসেবে ধরা হয়। এই জরিপ থেকে আমরা সমাজের কল্যাণ অর্জন করে নেওয়ার বিষয়টিও বুঝতে পারি। শুধু টাকা নয়- স্বচ্ছতা, সততা, বিশ্বাস বা আস্থা ও সুসাস্থ্যও সুখের অনুভূতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২০১২ সালে প্রথমবারের মত সুখের এই জরিপ করা হয়। তবে এবারই প্রথম গবেষকরা লিঙ্গ, বয়স ও অঞ্চলভেদে সুখের মাপকাঠি বোঝার চেষ্টা করেছেন। গবেষণার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুরুষের চেয়ে নারীর সুখের অনুভূতি বেশি। নারীরা অল্পতেই সুখী হয়। আর বিশ্বের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর চেয়ে তরুণরা বেশি সুখী।
উল্লেখযোগ্য আরেকটি বিষয় হলো, সুখী দেশের তালিকায় প্রথম দশটি দেশের ৯টিই গতবারও প্রথম দশে ছিল।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল এবং ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের বিচারে ১২৫টি দেশের মধ্যে ৫৩টি দেশের উন্নতি হয়েছে, ৪১টির অবস্থা খারাপ হয়েছে এবং ৩৬টি দেশ অপরিবর্তিত রয়েছে।
সুখের ধারণাকে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়ও যুক্ত করা উচিত বলে সুপারিশ করেছেন গবেষকরা।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment