একটা সময় ডায়াল আপ কানেকশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ পেতে মানুষের ঘাম ছুটে যেতো। ডায়াল আপ হটিয়ে দিয়ে এলো জিপিআরএস। এতে খানিকটা স্বস্তি মেলে। কিন্তু জিপিআরএসের স্লথ গতিতে অনেকেই সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। এলো এজের যুগ। সেই যুগ বেশি দীর্ঘ হয়নি। কেননা, দ্বিতীয় প্রজেন্মের নেটওয়ার্ক বা টুজি এজের কবর রচনা করে।
এরপর এলো থ্রিজি। থ্রিজি জনপ্রিয় হতে না হতেই ফোরজি হাজির। আমাদের দেশে ফোর জি চালুর খবর যখন শোনা যাচ্ছে ঠিক তখন তামাম দুনিয়া ফাইভ জি নিয়ে সরগরম।
ফাইজ জিতে ভিডিও স্ট্রিমিং হয় চোখের নিমিষে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল টেলেকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) ইন্টারনেটের গতি আরও ধাপ এগিয়ে আরও দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা আনার ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগোতে ১০ থেকে ১৮ জুন আইটিইউর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আইটিইউর ১২ সদস্যের একটি দল ফাইভজি নিয়ে একটি খসড়া তৈরি করেন। সারা পৃথিবীকে ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে প্রযুক্তিগতভাবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে কি কি করতে হবে তা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়।
জানা গেছে আইটিইউ মাস খানেকের মধ্যে একটি পাইলট প্রোজেক্টও শুরু করবে। বৈঠকে এটাও জানানো হয়, ফোরজির তুলনায় ফাইভজির স্পিড উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হবে।
বর্তমানে ফোরজি এলটিটিই প্রযুক্তিতে ১জিবিপিএস পর্যন্ত সর্বাধিক স্পিড দিতে সক্ষম। ফাইভজিতে এই স্পিড ২০ গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাত্ ঠিকমতো কানেক্টিভিটি থাকলে প্রতি সেকেন্ডে ২০জিবিপিএস পর্যন্ত স্পিড দিতে পারবে ফাইভজি।
ফাইভজিতে একটি হাই ডেফিনিশন সিনেমা মোবাইলে ডাউনলোড হতে এক সেকেণ্ডেরও কম সময় লাগবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক দেখেছেন যে, ফাইভজির সাহায্যে প্রায় ১ টেরাবাইট পর্যন্ত স্পিড দিতে পারা যায়। তবে তা বাস্তবে কতটা সম্ভব তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে আপাতত থ্রি কিংবা ফোরজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কেননা, ফাইভজির জন্য এখনও ৪ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চলতি বছরে অক্টোবরে বিশ্বের ১৯৩টি টেলেকম সংস্থা যদি ফাইভজি নিয়ে ঐকমত্যে আসে, তবে ২০২০ এর মধ্যে এই সেবা মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment