বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) সরকারি বানিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সংস্থার আইন সংশোধন হয়ে গেলেই ২০১৬ সাল থেকে এটি বানিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন। এ সময় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিএইচবিএফসি’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ আমিন উদ্দিন আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম. নূরুল আলম তালুকদার বৈঠক করেন।
এতে তারা দেশের সাধারন মানুষের গৃহায়ন সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে বিএইচবিএফসি’র ভূমিকা তুলে ধরেন এবং সংস্থার কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চান।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএইচবিএফসি বর্তমানে অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে আছে। ব্যাংকে রূপান্তরিত হলে এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ ব্যাংকে চলে যাবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকই বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। এতে তো কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।
তিনি বলেন, বিএইচবিএফসি গৃহায়নখাতের উন্নয়নে ভাল কাজ করছে। এখাতে অন্যদের চেয়ে অনেক কম সুদে ঋণ দিচ্ছে। তাদের ঋণ আদায়ের হারও ভাল। সংস্থাটি তাদের কাজকে আরো গতিশীল করতে পাঁচ শ’ কোটি টাকার তহবিল সহায়তা চেয়েছে। এ অর্থ তাদের তিন কিস্তিতে দেওয়া হবে।
বৈঠকে বিএইচবিএফসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আলম তালকুদার বলেন, ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। আইনানুযায়ী এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ১১০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, নিজস্ব জমির ওপর বাসস্থান নির্মানে ৫০ লাখ টাকা, যৌথ মালিকানাধীনে প্রতিজনকে ৫০ লাখ টাকা গ্রুপ ঋণ , ফ্ল্যাট ঋণ সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা এবং গ্রামে সেমিপাকা বাসস্থান নির্মানের জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
নূরুল আলম বলেন, বর্তমানে ঢাকা ও চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটান এলাকায় ১২ শতাংশ এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় ১০ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ হারে ঋণ দেওয়া অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে কোন ভর্তুকির প্রয়োজন হবে না।
তবে বাজার শর্তে তহবিল গ্রহন করতে হলে কমপক্ষে বার্ষিক নয় শতাংশ সুদ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার বাড়ানোর প্রয়োজন হবে। তহবিল সহেযাগিতা সহজ শর্তে দেওয়া হলে সহজ শর্ত ও বাজার শর্তের সুদের পার্থক্য হবে বাৎসরিক ছয় শতাংশ। তবে সরকারি উৎস ছাড়া বিএইচবিএফসি বাজার থেকে কোন ধরনের ঋণ নিতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএইচবিএফসিকে সহজ শর্তে ৫শ’ কোটি টাকা তহবিল সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ৫শ’ কোটি টাকার মধ্যে ৭৫ শতাংশ সহজ শর্তে এবং ২৫ শতাংশ বাজার শর্তে দেওয়া হবে।
সহজ শর্তে পাওয়া টাকা কেবলমাত্র গ্রামীণ ও মফস্বল এলাকায় ঋণ হিসেবে প্রদান করা হবে। তাই অন্যান্য হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানির সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে না।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment