অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্লাবিত হওয়া অঞ্চলগুলোতে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি তিন ধাপের হালনাগাদের কাজে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সুত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিশন সুত্র জানায়, কিছু কিছু অঞ্চল অতি মাত্রায় ভারি বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে। তাই ইসি তাদের তিন ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদে কিছুটা পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।
প্রথম ধাপের হালনাদের এলাকাগুলো নেওয়া হয়েছে তৃতীয় ধাপে ও দ্বিতীয় ধাপের এলাকাগুলো হালনাগাদ করা হবে প্রথম ধাপে। এই পরিবর্তন আনা হতে পারে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের থানা অথবা উপজেলাগুলোতে।
কারণ সারাদেশে ৫১৪টি থানা অথবা উপজেলাতে তিন ধাপে কাজ শেষ হবে। এ হিসেবে প্রথম ধাপে ১৮৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৮৪ এবং শেষধাপে ১৪১টির কাজ হবে।
কমিশন সুত্র জানায়, আজ (বুধবার) দুপুরের দিকে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তার দেওয়া প্রতিবেদনে হালনাগাদ কার্যক্রমের ধাপে পরিবর্তন আনার জন্য কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের রামু ও পেকুয়াতে বর্তমানে ভোটারযোগ্য নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের মত কোনো পরিস্থিতি নেই। তাই আপাতত এদুটি উপজেলাতে তথ্য সংগ্রহ স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট জেলার যেখানে তথ্য সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে সেখানে কার্যক্রম স্থানান্তরের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই অনুরোধ নির্বাচন কমিশন সক্রিয় বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে কক্সবাজারের বাইরের জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে পাঠানো অধিকাংশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা বৃষ্টি আর বন্যার কারণে প্রথম পর্যায়ের অধিকাংশ এলাকায় বাড়ি বাড়ি যেতে পারেনি তথ্য সংগ্রহকারীরা। সেই সঙ্গে এলাকায় পর্যাপ্ত প্রচার চালানো সম্ভব হয়নি। তবে সীমিত আকারে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে বলেও মাঠ প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১৫ দিন সময় থাকলেও বন্যার কারণে প্রায় ১০ দিন চলে গেছে। মানুষ পানিবন্দি থাকার কারণে তথ্য সংগ্রহকারীরাও এখনো বাড়ি বাড়ি যেতে পারছেন না। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা তথ্য সংগ্রহকারীদের বাড়িঘরও প্লাবিত হয়েছে। তাই দুর্গত এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করছে ইসি।
সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় সময় বাড়ানোর পাশাপাশি প্রথম ধাপের তথ্য সংগ্রহ তৃতীয় ধাপে এবং দ্বিতীয় ধাপেরটা প্রথম ধাপে এনে কাজ সম্পন্ন করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
আগামী শনিবারের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। কারণ ওই দিন প্রথম ধাপের তথ্য সংগ্রহ শেষ হবে। সব ভোটারযোগ্য নাগরিকদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই সারাদেশে ৭২ লাখ নতুন ভোটারের টার্গেট নিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে ইসি। প্রথম পর্যায়ে ১৮৯টি উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এটি চলবে আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত। বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment