দীর্ঘ সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর দলের ক্রান্তিকালে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পদত্যাগের কথা জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ প্রতিদিন২৪ অনলাইন ডটকমকে বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছি। সে জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’ বুধবার সন্ধ্যায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে এই পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানান তিনি।
শমসের মবিন বিএনপির চেয়ারপারসনের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে দলের মধ্যে পরিচিত ছিলেন। তিনি এমন সময়ে দল থেকে পদত্যাগ করলেন যখন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই বছর চাকরি মেয়াদ শেষে করে ২০০৮ সালে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিএনপিতে যোগ দেন শমসের মবিন চৌধুরী। সে সময় চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পান তিনি।
২০০৯ সালে বিএনপির কাউন্সিল হলে শমসের মবিনকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০১-০৫ সাল পর্যন্ত শমসের মবিন চৌধুরী ছিলেন পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্বে।
শমসের মবিন চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি সিলেট জেলায়। তার বাবার নাম আবদুল মবিন চৌধুরী এবং মায়ের নাম তাহমেদুন নাহার। তার স্ত্রীর নাম শাহেদা ইয়াসমিন। তাদের দুই ছেলে রয়েছে।
১৯৭১ সালে শমসের মবিন চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রতিরোধযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে যুদ্ধে তিনি আহত হন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে বন্দি করে। নভেম্বর মাসে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট আনা হয় এবং বলা হয় কোর্ট মার্শাল করা হবে। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। তিনি মুক্ত হয়ে যান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজর পদে কর্মরত থাকাকালে শমসের মবিন চৌধুরীর চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে পররাষ্ট্রসচিব পদে উন্নীত হন এবং পরে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর নেন। পরে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment