১১৬ বছর ৩১১ দিন বেঁচে থেকে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ সুসান্নাহ মোশেট জোনস। আঠরো শতকে জন্ম নেয়া সর্বশেষ মার্কিন নাগরিক তিনি। তার পরে যে মানুষটি জন্ম নিয়েছেন তিনি উনিশ শতকের নাগরিক। জোনসের জন্মের মধ্য দিয়েই শেষ হয় আঠারো শতকে মানুষ জন্মের ইতিহাস।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসভিত্তিক
বার্ধক্যবিদ্যা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রবার্ট ইয়ং জানান,
দেশটির ব্রুকলিনের একটি বৃদ্ধাশ্রমে বাস করে আসা জোনস বৃহস্পতিবার রাতে
মৃত্যুবরণ করেন। তিন দশক ধরে সেখানে বাস করছিলেন তিনি। গত ১০ বছর ধরে
অসুস্থ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে জোনসকে।
১৮৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা
অঙ্গরাজ্যের মন্টগোমারি শহরে জন্ম নেন জোনস। ১১ ভাই-বোনের একজন তিনি।
কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলে পড়াশুনা করেছেন জোনস। ১৯২২
সালে স্নাতক শেষ করে ঘরের কাজেই মনোযোগ দেন তিনি। দীর্ঘদিন শিশু পালনকারী
হিসেবেও কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই বাসিন্দা।
জোনসের ভাগ্নে লুইস জজ বলেন, ‘তিনি
বাচ্চাদের পছন্দ করতেন।’ ২০১৫ সালে এপি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে জোনস
জানিয়েছিলেন, তার নিজের কোনো সন্তান নেই। একবার বিয়ে করলেও কয়েক বছর পর তার
বিচ্ছেদ ঘটে। তার পরিবারের সদস্যরা মনে করতেন, গ্রামীণ এলাকায় বড় হওয়ার
কারণে তিনি তাজা সবজি এবং ফল খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আর এ কারণেই দীর্ঘদিন
বেঁচে থাকতে পেরেছেন।
গিনেজ বুকের তথ্য অনুসারে, তার মৃত্যুর পর
বর্তমানে বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ এমা মোরানো মারতিনুজি। তিনি ১৮৯৯ সালে
ইতালিতে জন্ম গ্রহণ করেন। এর আগে গত বছর ১১৭ বছর বয়সে জাপানের টোকিওতে
মিশাও ওকাওয়ার মৃত্যুর পর জোনসকে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি বলে ঘোষণা করে
গিনেজ বুক।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া
নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment