জেএসসি-জেডিসিতে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ এবার ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ পাসের হার কমেছে। এবারও বোর্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৬২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছরও এই বোর্ডের ফলাফল ছিল সবচেয়ে খারাপ।
কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফলের কারণে সার্বিক ফলাফল খারাপ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কুমিল্লা বোর্ড ধারাবাহিকভাবে খারাপ করছে। এর প্রভাব সার্বিক ফলাফলে পড়ছে। তবে কেন কুমিল্লা খারাপ করছে সে বিষয়ে আমাদেরকে গভীরে যেতে হবে। এটা নিয়ে গবেষণা করতে চাই। তবে আজকে যেহেতু ফল প্রকাশ হলো আজই তো আর এটা নিয়ে মাঠে নামা সম্ভব না। আমরা এটা নিয়ে মাঠে যাবো। পর্যালোচনা করবো। সার্বিক ফলাফল নিয়ে আমরা গবেষণা করবো।
শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এবার ১০টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৪২ জন, যা গত বছর ছিল ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৯ জন। বেড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৮৩জন। আর এবার পাস করেছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ২৭১জন। যা গত বছর ছিল ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ জন। এবার কমেছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন।
এবার জেএসসি ও জেডিসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন। যা গতব ছর ছিল ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন। কমেছে ৫৫ হাজার ৯৬০ জন। এবার পাসের হার ও জিপিএ ফাইভে এগিয়ে মেয়েরা। ছাত্রী পাসের হার ৯৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ১৭। ছাত্র পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯২ দশমিক ৯২ শতাংশ। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭৩০ জন। যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ২৪৩ জন। ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৮০ হাজার ৮৯৮ জন। যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৪৫ জন। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ২৯ হাজার ৮৩২জন জিপিএ ফাইভ বেশি পেয়েছে।
এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। এবার এই সংখ্যা ৫ হাজার ২৭৯ টি। যা গত বছর ছিল ৯ হাজার ৪৫০ টি। কমেছে ৪ হাজার ১৭১টি। এছাড়া শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। এবার এই সংখ্যা ৫৯টি। যা গত বছর ছিল ২৮টি। বেড়েছে ৩১টি।
No comments:
Post a Comment