রাজধানীর মিরপুরে বাসা থেকে দুই পুলিশ সার্জেন্টের অস্ত্র চুরি - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, January 25, 2018

রাজধানীর মিরপুরে বাসা থেকে দুই পুলিশ সার্জেন্টের অস্ত্র চুরি


রাজধানীর মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগে একটি বাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের দুই সার্জেন্টের সরকারি দুটি অস্ত্র চুরি হয়েছে।এই ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় এক সার্জেন্ট বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার ১২ দিনেও অস্ত্র দুটি উদ্ধার হয়নি। তবে থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পশ্চিম জোনে কর্মরত দুই সাজেন্ট হলেন— মো. মামুনুর রশীদ ও সোহেল রানা। তারা মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগে ঝিলপাড়ের ২৯৯/৯/১/এ বাড়ির চতুর্থ তলায় থাকেন। গত ১১ জানুয়ারি এই বাসার জানালার গ্রিল কেটে এবং তাদের ট্রাংক ভেঙে অস্ত্র দুটি চুরি হয়েছে বলে সার্জেন্ট মামুনুর রশীদ ১২ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ঝিলপাড়ের ২৯৯/৯/১/এ বাড়ির চতুর্থ তলার বাম পাশের ফ্ল্যাটের দুটি কক্ষে আমরা ব্যাচেলর হিসেবে থাকি। গত ১১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত গাবতলী এলাকায় ডিউটি পালন করে বাসায় ফিরে আসি। আমার নামে ইস্যু করা পিস্তল তাওরাশ, ১৬ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন এবং সার্জেন্ট সোহেল রানার নামে ইস্যু করা পিস্তল তাওরাশ, ১৬ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন আমাদের দু’জনের রুমে ভিন্ন ভিন্ন ট্রাংকে তালা দিয়ে রাখি।’

তিনি এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, ‘সোহেল রানা ওইদিন বিকাল পাঁচটায় বাসা থেকে বের হয়ে যান। আমি বিকাল আনুমানিক সোয়া ছয়টায় প্রথমে গাবতলী, পরে বাণিজ্য মেলায় যাই এবং আনুমানিক রাত পৌনে দশটায় তালা খুলে বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করি। ফ্ল্যাটের প্রধান দরজার তালা খুলে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় দেখি, দরজা ভেতর থেকে লাগানো। পরে সার্জেন্ট সোহেল রানাকে বিষয়টি জানাই। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ডাকি। সবাই আসার পর দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করি। এসময় দেখি, আমার ও সোহেল রানার রুম দুটি খোলা। বাসার মালামাল সব এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। তখন সার্জেন্ট সোহেল রানাও বাসায় আসেন। আমরা মালামাল খোঁজ করে দেখি, আমাদের দুজনের পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগাজিন ট্রাংকে নেই। এছাড়া, আমাদের দুজনের দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনও নেই।’

সোহেল রানার বিছানার নিচে থাকা পঁচাত্তর হাজার টাকাও পাওয়া যায়নি বলে সার্জেন্ট মামুনুর রশীদ তার এজাহারে অভিযোগ করেন।

তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, ‘এসময় আমরা খেয়াল করে দেখি, বাসার পূর্বপাশের দুটি জানালার গ্রিল কাটা। আমাদের ধারণা, ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে রাত পৌনে ১০টার মধ্যে আমাদের উল্লিখিত মালামাল চুরি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই। এছাড়া, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দাখিল করেছি। এতে সামান্য দেরি হয়েছে।’

সার্জেন্ট সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা বাণিজ্য মেলায় ছিলাম। আমাদের ভবনের পাশে একটি চারতলা ভবন আছে। ধারণা করছি, সেখান থেকে উঠে গ্রিল কেটে চোরেরা বাসার ভেতরে প্রবেশ করেছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘স্থানীয় কেউ হবে হয়তো। কারণ, তারা খোঁজ রেখেছে যে, আমরা কখন বাসায় থাকি না। এটা খোঁজ রেখেই তারা বাসায় প্রবেশ করেছে।’

এই সার্জেন্ট বলেন, ‘আমরা মামলা করেছি।তদন্ত চলছে। দেখা যাক কী হয়।’

এই সার্জেন্ট বলেন, ‘আমরা মামলা করেছি।তদন্ত চলছে। দেখা যাক কী হয়।’

ট্রাফিক সার্জেন্টরা দায়িত্ব পালনের সময় সঙ্গে তাদের অস্ত্র রাখেন এবং দায়িত্ব শেষেও নিরাপদে নিজ নিজ হেফাজতে তাদের অস্ত্র রাখেন উল্লেখ করে ডিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘এটা চুরির ঘটনা। তাদের বাসা থেকে চুরি হয়েছে। আমরা সবাই বিষয়টা জানি।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় মামুনুর রশীদ মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এখনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তবে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ যেভাবে কাজ করছে, তাতে ধারণা করছি, শিগগিরই অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যাবে।’
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here