সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে জাতীয়করণ (সরকারি) হলো দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৪৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতিগত অনুমোদনে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি করা হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (সরকারি মাধ্যমিক) লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সরকারি স্কুল ও কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা ২০১০ সালে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ে ১৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয়করণের লক্ষ্যে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কর্মকর্তারা সরেজমিনে স্কুলগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণ করতে দুটি তালিকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পর্যায়ক্রমে এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, দেশে পুরনো মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৩৩৩টি । পরে বিভিন্ন সময়ে ১২টি মডেল বিদ্যালয়সহ ১৭৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে নুতন করে আরও ৪৩ বিদ্যালয় জাতীকরণ করায় দেশে মোট সরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৫১টি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আজ থেকে শিক্ষকরা সব প্রকার সরকারি সুবিধা পাবেন। জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক অন্যত্র বদলি হতে পারবেন না।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment