না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী মায়া ঘোষ - SongbadProtidin24Online.com

songbad+cover

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

demo-image

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Sunday, May 19, 2019

না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী মায়া ঘোষ

Responsive Ads Here
maya
দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে অবশেষে হার মানলেন মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মায়া ঘোষ। আজ রোববার, ১৯ মে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনি দেহত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার পুত্র দীপক ঘোষ।
তিনি জানান, যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান মায়া ঘোষ।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মঞ্চ, নাটক ও চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী মায়া ঘোষ। তার দুই পুত্র দীপক ঘোষ ও প্রদ্যুত ঘোষ জানান, ২০০০ সালে মায়া ঘোষের শরীরে প্রথম ক্যানসার ধরে পড়ে। ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার সরোজগুপ্ত ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে চলে চিকিৎসা। ২০০৯ সালের দিকে অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর কিডনি, লিভার ও হাঁটুর সমস্যা দেখা দেয়। তারও চিকিৎসা চলছিল।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আবারও ক্যানসার ধরা পড়ে। পুনরায় কলকাতার সরোজগুপ্ত ক্যানসার হসপিটালে নেয়া হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সেখান থেকে ফিরে পুনরায় মার্চে যাওয়ার কথা বলা হয়। ১৩ মার্চ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর ২২ মার্চ কলকাতায় নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
মায়া ঘোষও দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল ছিলেন। একপর্যায়ে গত ১৫ এপ্রিল তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর কুইন্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মায়া ঘোষ।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরের মণিরামপুর উপজেলার প্রতাপকাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মায়া ঘোষ। তার বাবার নাম শংকর প্রসাদ গাঙ্গুলি। পরবর্তীতে একই উপজেলার মাছনা-খানপুর গ্রামের দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৮৪ সালে তারা ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এর আগে ১৯৮১ সালে ‘পাতাল বিজয়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন মায়া ঘোষ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এটিএন বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ডিবি’-তে অভিনয় করেছেন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad