'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার' ঘোষণা অনুযায়ী মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলীমাবাদ গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারকে নতুন বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলীমাবাদ গ্রামে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এবং মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর সমন্বয়ে বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজ। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গ্রামের ইউপি মেম্বার মো. শহিদুল শিকদার ও তার সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ ফকিরের নেতৃত্বে প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে নগদ ৫শ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ আসে।
সন্ত্রাসী মোশাররফ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাব-কন্ট্রাকটর সুজন মিয়ার কাছেও দুই লক্ষ টাকা চাঁদ দাবি করেছে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সুজন ও তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী মোশাররফ তার লোকজন নিয়ে মারধর করেন। যার ফলে দীর্ঘ ৬ মাস চলমান কাজ বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বন্ধ রাখে। মিটার প্রতি চাঁদা দিয়েও সময় মতো বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামবাসীর। ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ও বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পায়নি এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর কাছে অভিযোগ জানালে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার কথা জানান। গ্রামবাসী জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অভিযোগ তদন্ত করে উপযুক্ত প্রামাণ পাওয়ার পরও কোনো প্রকার কর্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ভুক্তভোগী গ্রামবাসী সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় প্রশাসনের শীর্ষ মহলে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রকার পদক্ষেপে গ্রহণ করা হয়নি।
ভুক্তভোগী মো. বাবুল ফকির, মো. কবির ফকির, জাকির ফকির, শেফালী বেগম, বিউটি আক্তার জানান, পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইনে কাজ করার সময় শহিদুল মেম্বর প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ শত টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। তার লোক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকদের কাছেও চাঁদা দাবি করে এবং মারধর করে। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ মাসের বেশি সময় কাজ বন্ধ রাখে। কিছুদিন পূর্বে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু করে। কিন্তু আমাদের গ্রামবাসীর কাছ থেকে যে চাঁদা তুলে নিয়েছে তার কোনো প্রতিকার আমরা পাইনি। আমরা ইউপি মেম্বার ও তার সহযোগীর শাস্তির দাবি জানাই।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজ এর সাব-কন্ট্রাকটর সুজন মিয়া বলেন, ইউপি মেম্বার শহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগী সন্ত্রাশী মোশারফ ফকির আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তির দাবি জানাই।
অভিযুক্ত কয়ারিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বা আমার কোনো সহযোগী পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানার সময় কোনো টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে যে কথা বলা হচ্ছে তা সর্ম্পূণ মিথ্যা।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম পারভেজ আলম বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে একটি দতন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ঐ এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের সাথে কথা বলে এসেছি। তদন্তের জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিগগিরই আমরা তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে জমা দিতে পারবো। আমি কয়েক দিন পূর্বে দেখে এসেছি ৫৬৪ জন গ্রাহকের মধ্যে ৩৫০ জনের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে। বাকিরা খুব দ্রুত সংযোগ পেয়ে যাবে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলীমাবাদ গ্রামে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এবং মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর সমন্বয়ে বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজ। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গ্রামের ইউপি মেম্বার মো. শহিদুল শিকদার ও তার সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ ফকিরের নেতৃত্বে প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে নগদ ৫শ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ আসে।
সন্ত্রাসী মোশাররফ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাব-কন্ট্রাকটর সুজন মিয়ার কাছেও দুই লক্ষ টাকা চাঁদ দাবি করেছে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সুজন ও তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী মোশাররফ তার লোকজন নিয়ে মারধর করেন। যার ফলে দীর্ঘ ৬ মাস চলমান কাজ বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বন্ধ রাখে। মিটার প্রতি চাঁদা দিয়েও সময় মতো বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামবাসীর। ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ও বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পায়নি এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর কাছে অভিযোগ জানালে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার কথা জানান। গ্রামবাসী জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অভিযোগ তদন্ত করে উপযুক্ত প্রামাণ পাওয়ার পরও কোনো প্রকার কর্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ভুক্তভোগী গ্রামবাসী সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় প্রশাসনের শীর্ষ মহলে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রকার পদক্ষেপে গ্রহণ করা হয়নি।
ভুক্তভোগী মো. বাবুল ফকির, মো. কবির ফকির, জাকির ফকির, শেফালী বেগম, বিউটি আক্তার জানান, পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইনে কাজ করার সময় শহিদুল মেম্বর প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ শত টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। তার লোক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকদের কাছেও চাঁদা দাবি করে এবং মারধর করে। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ মাসের বেশি সময় কাজ বন্ধ রাখে। কিছুদিন পূর্বে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু করে। কিন্তু আমাদের গ্রামবাসীর কাছ থেকে যে চাঁদা তুলে নিয়েছে তার কোনো প্রতিকার আমরা পাইনি। আমরা ইউপি মেম্বার ও তার সহযোগীর শাস্তির দাবি জানাই।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজ এর সাব-কন্ট্রাকটর সুজন মিয়া বলেন, ইউপি মেম্বার শহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগী সন্ত্রাশী মোশারফ ফকির আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তির দাবি জানাই।
অভিযুক্ত কয়ারিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বা আমার কোনো সহযোগী পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানার সময় কোনো টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে যে কথা বলা হচ্ছে তা সর্ম্পূণ মিথ্যা।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম পারভেজ আলম বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে একটি দতন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ঐ এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের সাথে কথা বলে এসেছি। তদন্তের জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিগগিরই আমরা তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে জমা দিতে পারবো। আমি কয়েক দিন পূর্বে দেখে এসেছি ৫৬৪ জন গ্রাহকের মধ্যে ৩৫০ জনের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে। বাকিরা খুব দ্রুত সংযোগ পেয়ে যাবে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।