একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে বাড়তি ফি নিচ্ছে মাদারীপুরের কালকিনির দুইটি কলেজ - SongbadProtidin24Online.com

songbad+cover

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

demo-image

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Wednesday, September 16, 2020

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে বাড়তি ফি নিচ্ছে মাদারীপুরের কালকিনির দুইটি কলেজ

Responsive Ads Here
Madaripur1
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় ও ডি.কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজে সরকারি নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিপাকে পড়ছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কারণে তাদের ছেলে-মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে করোনার মহামারিতে বিপর্যস্ত মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ছেলে-মেয়েদের কলেজে ভর্তি করা নিয়ে পড়েছেন মহাসংকটে। অনেকে টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন গরীব অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে ফল প্রকাশের পর ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মনোনীত কলেজে ভর্তি হতে পারবে। সে অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ মফস্বলে সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের। অথছ উপজেলার শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে সরকারি নীতিমালা না মেনে অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বাড়ৈ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে (এক হাজার টাকার স্থলে) ভর্তি ফি-১ হাজার, উন্নয়ন ফি-১হাজার ৫’শত ও রেডক্রিসেন্ট ফি বাবদ-২৫টাকাসহ মোট ২হাজার ৫শত ২৫টাকা আদায় করছেন। এ ছাড়া একেইভাবে উপজেলার ডাসার ডি.কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৫শত টাকা করে আদায় করছেন। এতে বিপাকে পড়ছেন দরীদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কারণে তাদের ছেলে-মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাতে হিমশিম খাচ্ছে।এ অবস্থায় ছেলে-মেয়েদের কলেজে ভর্তি করা নিয়ে পড়েছেন মহাসংকটে। অনেকে টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না।
Madaripur3
সরকার করোনার মহামারি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে এবার কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এরই মধ্যে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড নীতিমালার একটি নোটিস জারি করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মফস্বলে পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেসন চার্জ ও ভর্তি ফিসহ সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদরে) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভূক্ত বা এমপিওবর্হিভূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, সেসন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার টাকার বেশি নিতে আদায় করতে পারবে না। আরো কিছু নির্দেশনাও রয়েছে পরিপত্রে। গত ৭ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত পত্রের শেষে বলা হয়েছে, এর ব্যত্যয় ঘটলে সকল দায়-দায়িত্ব কলেজ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা উপেক্ষা করে শশীকরের শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বাড়ৈ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন। তিনি কলেজের আশপাশের দেওয়ালে ভর্তি সংক্রান্ত নোটিস টানিয়ে দিয়েছেন। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী পার্থ অধিকারী, শোভন হালদার, সৌরভ ও মিথুন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমাদের কাছ থেকে ২৫’শত টাকা নিয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ।
শিক্ষার্থী অভিভাবক টিপু, সুশিলসহ বেশ কয়েকজন বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ মফস্বলে সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের অথছ সেখানে ওই দুই কলেজে ২৫’শত টাকা নিচ্ছে তাই আমরা আমাদের ছেলেদের ভর্তি করতে পারি নাই।
শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বাড়ৈ বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি-১ হাজার, উন্নয়ন ফি-১হাজার ৫’শত ও রেডক্রিসেন্ট ফি বাবদ-২৫টাকাসহ মোট ২হাজার ৫শত ২৫টাকা আদায় করেছি। তবে “আমি সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই ফি আদায় করছি।”
ডি.কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ একরাম হোসেন বলেন, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশক্রমে আমি ২৫’শত টাকা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, নীতিমালায় উন্নয় ফি নেয়ার কথা উল্লেখ না থাকলে আমরা শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিয়ে দিব।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা বা ছবি এবং ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad