কোরবানির ঈদের বাকি আছে এক দিন। তাই জমজমাট রাজধানীর গাবতলি পশুর হাট। পড়ে গেছে কেনাবেচার ধুম। এবার বিদেশি গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ না থাকায় বেজায় খুশি দেশি গরুর ব্যাপারিরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর অন্যতম পশুর হাট গাবতলিতে গিয়ে ব্যাপারিদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।
অধিকাংশ ব্যাপারিই সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এবার তারা তাদের গরু ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারছেন।
এক বেপারি বলেন, ‘এর আগে দু-তিন বছর লোকসান গুনতে হয়েছে। এবার পশুর খাবার, যাতায়াত ও আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে গেছে। তাই খুব চিন্তায় ছিলাম এবার কি হবে। তবে দেশি গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকার কারণে এবার লাভের মুখ দেখা যেতে পারে।’
কুষ্টিয়ার ব্যাপারি হায়াত উদ্দিন জানান, হাটে ক্রেতার প্রচুর সমাগম তাই বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। এবার বিদেশি গরু হাটে উঠলেও ক্রেতারা তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন দেশি গরু। তাছাড়া গরুর দাম এবার ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে থাকায় বিক্রি ভালো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘গরু পালনে প্রচুর খরচ লাগে। প্রতিটি গরুকে গম, ডাল এবং খেসারির ভুসি খাওয়াতে হয়। এছাড়া সরষের খৈলও দেয়া হয়।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে এক ক্রেতা লোকমান এসেছেন একটি গরু কেনার জন্য। পছন্দ করেছেন একটি সুন্দর দেশি গরু। দামও তার সাধ্যের মধ্যে। তাই তিনি গরুটি ক্রয় করে নিলেন।
তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘এবার গরুর দাম প্রাথমিক অবস্থায় একটু বেশি ছিল। তবে বুধবার থেকে দাম একটু কমেছে। তাই সবাই সস্তিতেই গরু কিনতে পারছে বলে মনে হচ্ছে।’
এদিকে রাজধানীর কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি হাটেই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মাইকিং চলছে। ইজারাদাররা গরু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করেছেন। জাল টাকা শনাক্তের জন্য প্রতিটি হাটে মেশিন বসানো হয়েছে। পশুর হাটে আসা ব্যাপারিদের থাকা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছে হাট কর্তৃপক্ষ। ব্যাপারিদের টাকা জমা রাখার বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment