যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ
কামরুল ইসলাম মোল্লা দাখিলকৃত চার্জশিট আমলে নিয়ে এ আদেশ জারি করেন। বিশেষ
ক্ষমতা আইনে দায়ের করা ওই মামলায় এ আদেশ দেয়া হয়।
গত বছরের ১৯ মার্চ মামলাটিতে চার্জশিট
দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চার্জশিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়াসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২৮ জন পলাতক থাকায় বুধবার
আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডে গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় ৩১ জন দগ্ধ হয়। পরে ওই ঘটনায় নুর আলম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হলে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডে গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় ৩১ জন দগ্ধ হয়। পরে ওই ঘটনায় নুর আলম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হলে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
একই ঘটনায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় একই
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক পৃথক আরও দু’টি চার্জশিট
দিয়েছে পুলিশ। তিনটি চার্জশিটেই খালেদা জিয়াকে প্রধান ও হুকুমের আসামি
দেখিয়ে তাকে পলাতক দেখানো হয়।
গত বছরের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর
কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া
হলে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন
ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম
(৬০) নামক এক বৃদ্ধ যাত্রী।
এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে
হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেন থানার
উপ-পরিদর্শক কে এম নুরুজ্জামান। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে একটি (মামলা নম্বর
৫৮) এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় অন্য মামলাটি (মামলা
নম্বর ৫৯) দায়ের করা হয়।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া
নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment