শুক্রবার মানেই নতুন ছবি। তবে সিটি নির্বাচনের জোয়ারে অনেকেই ছবি মুক্তির দিন তারিখ ঘোষণা করে পিছিয়ে গেলেও মিষ্টি জান্নাত অভিনীত ‘চিনিবিবি’ ছবিটি ঠিকই মুক্তি পাচ্ছে। এছাড়াও এদিন ভারত থেকে আমদানীকৃত ও আমির খান অভিনীত ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবিটিও মুক্তি পাচ্ছে।
অর্থ্যাৎ প্রেক্ষাগৃহে মুখোমুখি হচ্ছেন আমির খান ও মিষ্টি জান্নাত। গেল বছর ‘লাভ স্টেশন’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো মিষ্টি জান্নাতের ক্যারিয়ার। সেই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শুক্রবার তার দ্বিতীয় ছবি ‘চিনিবিবি’ মুক্তি পাচ্ছে। নজরুল ইসলাম বাবু পরিচালিত এ ছবিতে চিনিবিবির চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিষ্টি জান্নাত। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জয় চৌধুরী। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন অমিত হাসান, আলীরাজ, আনোয়ারা, আবদুল্লাহ সাকি, ওয়াদুদ রঙ্গিলাসহ অনেকে।
ছবি প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘আমাকে নিয়েই গড়ে ওঠেছে ছবিটির গল্প। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেম করি গ্রামেরই এক ছেলের সঙ্গে। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য। আশা করছি এই চরিত্রটিই আমাকে দর্শকের আরও কাছে নিয়ে যাবে।’
গ্রামের এক চঞ্চল, উৎফুল্ল তরুণীর গল্প নিয়ে গড়ে ওঠেছে ‘চিনিবিবি’ ছবির গল্প। গ্রামের সহজ-সরল প্রেমের গল্পে দর্শক ভিন্নতা পাবে বলে মনে করেন ছবির পরিচালক।
মৌলিক গল্প নিয়ে নির্মিত এই ছবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। ওয়াদুদ রঙ্গিলার লেখা কাহিনির ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ছবিটি।
ছবিতে ১০টি গান রয়েছে। এই গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন ১১ জন কণ্ঠশিল্পী। তারা হলেন- এন্ড্রু কিশোর, সাবিনা ইয়াসমিন, মনির খান, কনকচাঁপা, রাজীব, বেবি নাজনীন, আগুন, মমতাজ, ইতি, রিয়াদ ও ওয়াদুদ রঙ্গিলা। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা।
২০০৯ সালে বলিউডে মুক্তি প্রাপ্ত ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন রাজকুমার হিরানি। এতে অভিনয় করেছেন আমির খান, কারিনা কাপুর, আর মাধবন, শারমান যোশি। বলিউড বক্স অফিসে রেকর্ড ভঙ্গকারী এই ছবিটি এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করা এই ছবিটি ছয়টি ফিল্ম ফেয়ার, দশটি স্টার স্ক্রিন এবং ষোলটি আইফা অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে।
ছবির গল্পে দেখা যাবে, ফারহান কোরায়েশী, রাজু রাস্তোগী এবং রাঞ্চোরদাস শ্যামলদাস চাঁচর ইম্পেরিয়াল ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ত। তারা কলেজের আবাসিক রুমে একসাথে থাকত। ফারহানের ইচ্ছে ছিল সে ‘ওয়াইল্ড লাইফ’ ফটোগ্রাফার হবে, কিন্তু সেই স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে সে ইঞ্জিরিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়। রাজুর স্বপ্ন সে পড়াশোনা করে বড় চাকরি করবে এবং পরিবারের দারিদ্রতা দূর করবে।
অন্যদিকে রাঞ্চো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো ভালোবেসে, যন্ত্রপাতির প্রতি তার ছিল অদম্য কৌতূহল। রাঞ্চো বিশ্বাস করতো যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সফল হতে হলে এর সম্পর্কিত বিষয় গুলোর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে, পাঠ্যবই এবং প্রফেসর কর্তৃক প্রদত্ত বিষয়গুলো ভালভাবে না বুঝে শুধু মুখস্ত করলেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সফলতা হওয়া যায় না। তার মতে, সফলতার নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে উৎকর্ষের পেছনে ছুটা উচিৎ, সফলতা এমনিতেই চলে আসবে।
কিন্তু তার এই ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষানীতি নিয়ে কলেজের ডীন ভিরু সাহাস্ত্রাবুদ্দে (যাকে আড়ালে সবাই “ভাইরাস” নামে ডাকে) সহ বিভাগের সবাই ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে লাগলো। ভাইরাসের প্রিয় ছাত্র চতুর রামালিঙ্গম (যাকে সবাই “সাইলেন্সার” নামে ডাকে) সবসময় মুখস্ত বিদ্যার উপর নির্ভর করে চলতো। প্রথাগত নিয়মে শিক্ষাগ্রহন করে সে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইতো।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment