রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৩১ দশমিক ৫৩ একর জমিতে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ২২টি দেশ অংশ নিচ্ছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মেলা মাঠ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা জানান।
তিনি জানান, বিদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে। মেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ১০০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অন্যান্য বারের মতো মেলায় থাকছে পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যরা।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, নেপাল, হংকং, জাপান, আরব আমিরাত, মরিশাস, ঘানা, মরক্কো ও ভুটানসহ ২২টি দেশ অংশ নিচ্ছে।
মেলায় ১৩টি ক্যাটাগরিতে থাকছে- সাধারণ প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, বিদেশি প্যাভিলিয়ন, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন, রেঁস্তোরা, প্রিমিয়ার স্টল, বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল, সাধারণ স্টল এবং ফুড স্টল। এ সব স্টল, প্যাভিলিয়নের জন্য ৫৫৩টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৫০৩টি।
এবারই প্রথম বারের মতো মেলায় অংশ নিচ্ছে ভারতের সরকারি বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা (ইন্ডিয়ান ট্রেড প্রমোশন অর্গেনাইজেশন- আইটিপিও)।
গত বছরের মতো এবারও মেলার গেট বানানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের মতো। মেলায় এবারও থাকছে মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক, ই-শপ, এটিএম বুথ, রেডিমেট গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত, পাট ও পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহার সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ক্রোকারেজ, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হার্বাল ও প্রসাধন সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেক্টনিক্স সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচার স্টল।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এবারের মেলা হবে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। বাণিজ্যমেলার প্রস্তুতির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। আগামীকাল সাড়ে ৩ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন। মেলায় প্রতিবন্ধীদের প্রবেশের জন্য এবারও থাকছে আলাদা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, মেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশি-বিদেশি ভোক্তাদের বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত করা। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎপাদনকারীদের নিত্য নতুন এবং অধিকতর মানসম্পন্ন পণ্য নিয়ে ভোক্তার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। ক্রেতা-বিক্রেতার ও উৎপাদনকারীদের প্রত্যক্ষ সংযোগ সৃষ্টি করা।
মেলায় ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য থাকছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। এবারও প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্ক ৩০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২০ টাকা।
গত ২০ বছর ধরে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment